নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ৭ম স্ত্রীর বিদায়!
সাইদুর রহমানঃ‘ আমার বলা কিছু ছিলনা/চেয়ে চেয়ে দেখলাম তুমি চলে গেলে’ হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গানের বিপরীত দৃশ্য এটি। কোনমতেই বৃষ্টিকে যেতে দেবে না রকিব। জীবনপন প্রতিজ্ঞা তার। তাইতো ঢাকাগামী জে আর পরিবহনের সামনে ঝাপিয়ে পড়ে বাস থামাবার দুর্দান্ত চেষ্টা। তবু সফল হলনা সে। চলে গেল যন্ত্রদানব বাস সংসার ছাড়লো বৃষ্টি।
মঙ্গলবার সকালে রকিবের সপ্তম সংসারের যবনীকাপাত ঘটলো বিপুল নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এভাবে। প্যাথেটিক এ নাটক উপভোগ করলো মেহেরপুরের শত শত মানুষ।
মেহেরপুর জেলা শহরের পিয়াদাপাড়ার আব্দুল আলা’র ছেলে রকিব। পেশায় লোকাল বাসের হেলপার। সে ৬ বিয়ের পর বৃষ্টিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৭ম স্ত্রী হিসেবে ঘরে আনে চার বছর আগে। ঢাকার মেয়ে বৃষ্টি । রকিবের অতীত সম্পর্কে কিছুই জানতো না। এরই মধ্যে তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। নিজেকে নিয়তির দাস ভেবে ৭ম স্ত্রী হিসেবে সবকিছু মেনে নিয়ে সংসার করতে চেয়ে ছিলো বৃষ্টি। কিন্তু অন্যান্য স্ত্রীদের মতো তার উপরেও চলতে থাকে নির্যাতন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয় সে আর রকিবের সংসার করবে না। মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর থেকে ঢাকাগামী জে আর পরিবহনের একটি বাসে করে ঢাকার যাবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। পরিবহনে উঠার পর গাড়ি ছাড়ার ঠিক পূর্ব মুহুর্তে রকিব ও তার মাসহ কয়েক জন নিকট আত্মীয় বৃষ্টিকে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করে। চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে গাড়ি থামাবার চেষ্টা করে তারা। ততক্ষনে জড়ো হয় শ’শ’ উৎসুক মানুষ। পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদেরকে রাস্তা থেকে সবিয়ে দেয়। শেষমেষ ফলাফল শূণ্য। ক্ষোভের আগুনে জ্বলা বৃষ্টি কয়েক ফোঁটা চোখের জল ফেলে একমাত্র শিশু পুত্র সন্তানকে নিয়ে মেহেরপুর ত্যাগ করে। সূত্রঃ hello-today
Post a Comment