গতকাল রাতে আমার কয়েকজন ঘনিষ্ট আত্মীয়া বসুন্ধরা সিটি থেকে কেনাকাটা করে বাসায় ফেরার পথে এক অভিনব ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে।
সি,এন,জি তে করে বাসায় ফেরার পথে কাওরান বাজার ও ফার্মগেটের মাঝখানে তারা প্রচন্ড ট্রাফিক জ্যামে পড়ে। মোহাম্মদপুর পৌছে সি,এন,জি থেকে নামার সময় দেখতে পায় যে সিটের পিছনে রাখা শপিং ও ভ্যানিটি ব্যাগ গায়েব আর সাইড থেকে সি,এন,জি’র পর্দা কাটা। ভ্যানিটি ব্যাগের ভিতর হাজার দশেকের মত টাকা আর দুইটা মোবাইল ফোন ছিল।ছিনতাইকারীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য বিগত কয়েক বছর যাবতই সি,এন,জি’র প্যাসেঞ্জার অংশের দুই দিকের দরজাই গ্রীল এবং লক সিষ্টেম করা যা কিনা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু কথায় বলে চোরায় না শুনে ধর্মের কাহিনী, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তারাও নিত্য নতুন চুরি ছিনতাইয়ের পথ বের করে নিচ্ছে। সি,এন,জি’র প্যাসেঞ্জার সিটের পিছনে সাধারণত যেখানে যাত্রীদের ব্যাগ বা অন্যান্য মালামাল রাখা হয় সেই অংশটায় শুধুমাত্র লোহার ফ্রেম আর ত্রিপল এর আবরণ, যা কিনা বাইরে থেকে ধারালো চাকু বা ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলা এবং ছোটখাট বা মাঝারি সাইজের ব্যাগ / প্যাকেট বের করে নেয়া খুবই সহজ।
সবার প্রতি অনুরোধ, এর পর থেকে সি,এন,জি তে চড়লে ভ্যানিটি ব্যাগ অথবা দামী জিনিসপত্রের প্যাকেট পিছনে না রেখে পায়ের কাছে ফ্লোরে রাখার চেষ্টা করবেন, আর একান্ত যদি পিছনে রাখতেই হয় তাহলে জ্যামে পড়লে বা ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে কিছুক্ষণ পরপরই পিছনে ঘুরে দেখবেন সব কিছু ঠিকমত আছে কি না।
দয়া করে পোষ্টটি আপনার ফেইসবুক ওয়ালে এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন।
Related Topics: bangla news, dangerous, eid, hack, কর্মক্ষেত্রে, সংবাদ, news
Post a Comment