সুখী হওয়ার ৮টি সহজ উপায়
দশ মিনিট হেঁটে আপনি আপনার উদ্বিগ্নতা ও মানসিক চাপকে সামলাতে পারবেন। এটা আপনার মেজাজের ধরন পরিবর্তন ও সুখী করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রতি আমেরিকার ডেনভারের মেন্টাল হেলথ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও সুখী হয়ার আরো কয়েকটি উপায় রয়েছে।
জুতা নয়, থিয়েটারের টিকেট কিনুন: আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, নতুন কোনো বস্তুর কেনার চেয়ে ভালো একটি অভিজ্ঞতাই আমাদের বেশি সুখী করতে পারে। তাই সঞ্চয় করা অর্থ দিয়ে ছুটির দিনে হাতব্যাগ কিংবা জুতা কেনার চেয়ে থিয়েটারের টিকেট কিনুন।
বন্ধুদের গুরুত্ব দিন: সবচেয়ে সুখী লোকের ১০ শতাংশই তাদের বন্ধু ও পরিবারকেই বেশি প্রাধান্য দেয়।। বাইরে ড্রিংকস কিংবা খাবারের জন্য যাওয়ার চেয়ে ঘরে বসে সবাই খাবার বানিয়ে এক সঙ্গে খান।
নির্দিষ্ট গতির মধ্যে থেকেই হাঁটা শেষ করুন: হাঁটা কিংবা বাইসাইকেল ভ্রমণ যাই করো না কেন তা একটা গতির মধ্যে থেকে শেষ করো। তুমি যদি ৩০ সেকেন্ড বেশি গতিতে এটা করো এটা তোমার মেজাজে পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
টিভি না দেথে পড়াশুনা করুন: সুখী মানুষের তুলনায় অসুখী মানুষ ২০ শতাংশ বেশি টিভি দেখে। কিন্তু পড়াশুনা হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যেটি মানুষকে বেশি সুখী করে।
অর্থের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন: অর্থ মানুষকে সুখী করতে পারে না। কিন্তু একটি জরিপ বলেছে, আর্থিক নিয়ন্ত্রণ তোমাকে তুলনামূলকভাবে বেশি ভালো রাখবে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ জরিপে দেখা যায়, আপনি মাসে কত টাকা সঞ্চয় করছেন সেটার ওপর নয়, মানুষের সুখ আত্মসম্মান, সচ্ছলতা তার আর্থিক নিয়ন্ত্রণের ওপর ভিত্তি করেই প্রভাবিত হয়।
ফুল কিনুন: উপহার হিসেবে ফুল গ্রহণের পর মানুষ তুলনামূলকভাবে কম হতাশ, উত্তেজিত ও উদ্বিগ্ন হয়। ফুল মানুষের জীবনে উপভোগ ও সন্তুষ্টি নিয়ে আসে।
অন্যের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ান: স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ বা এমন কিছু করুন যা আপনার আত্মসম্মান ও আত্মতৃপ্তি বাড়িয়ে দিতে পারে।
পান গাওয়া শুরু করুন: জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট ইউনিভার্সিটির গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, গান শুনার চেয়ে গান গেয়েই বেশি সুখী হতে পারে। তবে তোমার প্রিয় কোনো গান শুনেও তোমার মেজাজে পরিবর্তন ঘটতে পারে।
Post a Comment