ঠোঁটে মিলুক চির আশ্রয়
সকাল হতে না হতেই আজ কেন চুমু খাওয়ার জন্য এক্কেবারে খেপে উঠেছেন আলিয়া ভট্ট? ট্যুইট করে জনে জনে অনুরোধও করছেনও তিনি, যত পারেন চুমু খান আর সেই চুমু খাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা খুলে বলুন ট্যুইটারে! আসলে আজ যে বিশ্ব চুমু দিবস; সেই জন্যই আলিয়া তো বটেই, সাধারণ মানুষেরও একটি চুমুর তরে উৎসাহের অবধি নেই! কলকাতাও যোগ দিয়েছে সেই ঠোঁটে ঠোঁট রেখে ব্যারিকেড গড়ার খেলায়।
চুমু মানেই কি শুধু তৃষিত দুই ঠোঁটের আশ মেটানোমাত্র? চুমু মানেই কি মনের কোণে থাকা ভালবাসার গ্যাস বেলুনটির হুশ করে আকাশে উড়ে যাওয়া? চুমু মানে কেবলই কি বন্ধ চোখে ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে যাওয়ার স্বর্গীয় অনুভব নাকি চুমু শুধুই মনের জোয়ারের আবেগ পরিবেশন? চুমু আসলে সবকটাই। সোহাগ আদরে ভেসে যাওয়ার এক মুহূর্তের কোমল আদরের একটি নামই তো চুমু। ঠোঁটে প্রথমবারের ঠোঁট রাখার স্পর্ধা হোক কিম্বা বারে বারে চুম্বনের সুধা রসে ভেসে গিয়েও আশ না মেটা হৃদয়ের সাতকাহন- চুমু জিনিসটা একেবারে মনের সঙ্গে মিশেল খাওয়া এক অক্সিজেন!
চুমু মানেই যেমন ইমরান হাশমি, চুমু মানেই তেমনই বাহুবন্ধনে তাকে কাছে টেনে এনে ঠোঁটে ঠোঁট রাখার আবেগ! চুমুর আবার আছে অনেক রকমফের, ভীতু চুমু, চ্যালেঞ্জের মুখে খেয়ে ফেলা হঠাৎ চুমু, প্যাশনের চুমু অথবা লুকিয়ে-চুরিয়ে ছুটকো চুমু! যেমনই হোক না কেন চুমুর মাহাত্ম্য- চুমু খাওয়ার দাবিদারদের কাছে সবকটাই যেন স্বর্গসুখ! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোহমের কথায়, ‘চুমু মানেই ওর আমার মাঝে চকোলেটের সিল্কের আদান প্রদান যেন’! অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা অঞ্জলি রায়ের কাছে চুমু মানে ‘প্যাঁচ খেলতে থাকা ঘুড়িটির হঠাৎই ভোকাট্টা হয়ে ভালবাসায় ড়ুবে যাওয়া’. আবার বেসরকারি সেক্টরে কর্মরত সোনালি ঘোষের কাছে চুম্বনের গহনতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক চুমুকে প্রেমের সরবত পান করাই হল চুমু খাওয়া’।
মহানগর কলকাতার মনের কোণায় কোণায় যত অজস্র ভালবাসার বুদ বুদ জন্মায় আর জন্মেছিল, সেই সব আজ উড়ে যাবে প্রণয় সাগরে। আন্তর্জাতিক চুম্বন দিবসে প্রেমে ডুবু-ডুবু জুটিদের সোহাগ চুম্বন হয়ে উপচে পড়ছে যে! প্রেমের কথা বলতে গেলে রবি ঠাকুরকে ভোলা যায় না, কিন্তু কবির কথায় ‘গোপনে একটি চুম্বন’ কামনা করছে না আর কোনও যুগলই। বরং সারা পৃথিবীর সঙ্গেই ভালবাসার এই কোমল প্রকাশে সামিল হতে উদ্যত হচ্ছে সকলেই।
কী ভাবছেন? বিশ্ব চুমু দিবস হলেও পথেঘাটে চুমু খাওয়াটা মোটেই নিরাপদ নয়? তাহলে ভারতের অসংখ্য হিট ছবিতে প্যাশনেট চুম্বনের দৃশ্যগুলি মনে মনে একটু ঝালিয়ে নিয়ে চুম্বন-আস্কারা দিই জেন-ওয়াইদের! বিপাশা বসু ও মাধবনের ‘জোড়ি ব্রেকার্স’-এর মাদক চুম্বন, ‘সাংহাই’ ছবিতে কল্কি কোচলিনের ভয়ে ভয়ে প্রসেনজিৎকে চুমু খাওয়া, সিরিয়াল-কিসার ইমরান হাশমির এষা গুপ্তকে ‘জন্নত ২’-এ ঠেসে কিস করা, ‘টাইটানিক’-এ কেট উইন্সলেট ও লিওলার্দোর মিষ্টি চুমু, ‘বরফি’-র রণবীর কপূর ও ইলিয়ানা ডি’ক্রুজের খুচরো চুমু, সবকটাই কি আরও একবার জাগিয়ে তুলছে না প্রেমেভরা মনের সুধারসের ভাণ্ডারকে? সাহসও কি দিচ্ছে না আরও অনেকটাই?
শহর কলকাতার সকল ভালবাসা মাখা মানুষদের জন্য তাই আজ কামনা করি- এবার ঠোঁঠে মিলুক চির আশ্রয়! আনন্দবাজার
Post a Comment