ইরানিদের বিয়ে ভীতি!

ইরানিদের বিয়ে ভীতি!


         আগুন-পানিতে ভয় থাকে, ভূত-প্রেতে ভীতি থাকে তাই বলে বিয়েতে ভয় থাকবে সে আবার কেমন কথা। তাও আবার ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মতো দেশে। অবিশ্বাস্য হলেও ইরানের বর্তমান বাস্তবতা এটাই। কিছু কারণে ইরানের যুবসমাজে বিয়ে প্রথাটি রীতিমতো ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে ইরানের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ কোটি। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতী। আইন অনুযায়ী, ইরানে পুরুষ ও নারীর বিধিবদ্ধ বিয়ের বয়স যথাক্রমে ১৮ বছর ও ১৬ বছর। কিন্তু ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী, ৯ বছর বয়সের পর একটি মেয়ে বিয়ের যোগ্যতাসম্পন্ন হয়ে ওঠে।
তবে ইরানের সামাজিক গবেষণা সমিতির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৮০ লাখ বিবাহযোগ্য তরুণ-তরুণী অবিবাহিত। এখন প্রশ্ন হল কী কারণে এতো বেশি সংখ্যক ইরানি বিয়ে করতে চায় না?
গত ১০ বছরে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে বৈরিতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইরান দফায় দফায় অর্থনৈতিক অবরোধের সম্মুখীন হয়েছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হয়ে যাচ্ছে, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হচ্ছে, কর্মচ্যুতির হার বেড়ে চলেছে, নাগরিকদের আয় কমে যাচ্ছে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানের অবনতির ধারা চলছে। এর ফলে তরুণ-তরুণীদের ওপর চাপ বাড়ছে এবং কিছু মাত্রায় তাদের বিয়ে করার আকাক্ষা কমে যাচ্ছে।
তাছাড়া, ইরানের সামাজিক ঐতিহ্য অনুযায়ী, বিয়ের সময় কনে পক্ষকে বর পক্ষের দেনমোহর প্রদানের প্রতিশ্রতি দিতে হয়। দেনমোহরের অর্থ বিয়ের সময় বা অব্যাবহিত পরে না দিতে হলেও, পরে বৈবাহিক জীবনের যে কোনো সময় স্ত্রীর দাবি মতো সেটা পরিশোধ করতে হয়। দেনমোহর পরিশোধে ব্যর্থ হলে স্বামীর কারাদণ্ডও হতে পারে। বর্তমানে ইরানের শহুরে পরিবারের দেনমোহর গড়ে প্রায় ১ লাখ ডলার। এছাড়া বিবাহভোজসহ নানা ধরনের খরচ অনেক পরিবারের জন্য একটি চাপ। সূত্র: ইন্টানেট
Share this post :

Post a Comment

Blog Archive

 
Support : Creating Website | N Hassan | Winter Hassan
Copyright © 2013. BD World 21 - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Online World