স্মার্টফোন ব্যবহারে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি
বর্তমান শতাব্দীর অন্যতম বড় বিস্ময় স্মার্টফোন। ইন্টারনেট ই-মেইল ও অন্যান্য সেবাদানে সক্ষম এ যন্ত্র এরই মধ্যে হয়ে উঠেছে বর্তমান সময়ের মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অংশ। কিন্তু এ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে হতে পারে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা। সম্প্রতি কেন্ট স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের অধ্যাপক ড. জ্যাকব বার্কলে ও ড. অ্যান্ড্রু লিপ এ জরিপ পরিচালনা করেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
তারা জানান, টেলিভিশনের মতো বিভিন্ন সুবিধাসংবলিত এ যন্ত্রের একটি বড় সুবিধা হলো এর আকার। ছোট ও সহজে বহনযোগ্য হওয়ার কারণে যন্ত্রটি ছোটখাটো বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়ামের সময় ব্যবহার করা যায়। ফলে মানুষের শারীরিক কাজের সময় কমিয়ে দিচ্ছে যন্ত্রটি। গবেষকরা তাদের এ জরিপের জন্য ৩০০ ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করেছিলেন। এদের থেকে মোট ৪৯ জনকে শেষপর্যায়ের শারীরিক সুস্থতা নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা করা হয়। জরিপ শেষে দেখা যায়, গড়ে প্রতিদিন যারা ১৪ ঘণ্টার অধিক সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের সুস্থতার হার দৈনিক ৯০ মিনিটের চেয়ে কম ব্যবহারকারীদের অনেক কম।
এ জরিপে অংশ নেয়া একজন ছাত্র বলেন, স্মার্টফোন ব্যবহার শুরুর পর থেকে তার বিভিন্ন শারীরিক কাজের পরিমাণ কমে গেছে। আগে ব্ল্যাকবেরি ফোন ব্যবহারের সময় এত বেশি অপশন না থাকার কারণে বিভিন্ন খেলাধুলায় প্রায়ই অংশ নিতেন তিনি। কিন্তু স্মার্টফোনের কল্যাণে এখন সবকিছুই রয়েছে হাতের নাগালে। ফলে বিরক্তিকর সময়গুলোয় প্রয়োজনীয় ও পছন্দের যেকোনো কিছুই যখন তখন ডাউনলোড করতে সক্ষম তিনি। এ সুবিধার ব্যাপকতার কারণেই বর্তমান সময়ের মানুষ ধীরে ধীরে শারীরিক কাজের প্রতি বিমুখ হয়ে পড়ছে। এর ফলে অচিরেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা প্রকট হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন বার্কলে ও লিপ
Post a Comment