ফলের জুসে মোটা হওয়ার প্রবণতা
বর্তমান বিশ্বে ‘স্থূলতা’ একটি বড় সমস্যা। আর এর থেকে পরিত্রাণের জন্য অনেকেই আছেন যারা শুধু ফল বা ফলের জুস এসব নিম্ন ক্যালরির খাবার খেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সত্যিই কি ফলের জুস মোটা হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়?
সম্প্রতি ‘দ্য ব্রিটিশ ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশন’-এর এক গবেষণায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এতে জানানো হয়, ‘স্থূলতা’ সমস্যা এড়ানোর জন্য আমরা যা খাই, তাই হচ্ছে আমাদের মোটা হওয়ার প্রধান কারণ। অর্থাৎ ফলের জুস, স্মুদি, ড্রাই ফ্রুটস, নিম্ন ক্যালোরির দই, বিস্কুট এসব খাবারই মোটা হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
পুষ্টিবিদ ক্যাথরিন ম্যাথিউস বলেন, “সাধারণত আমরা মনে করি শাক-সবজি বা ফলের জুসে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। কিন্তু আমরা ভুলে যাই এতে আরো আছে প্রচুর পরিমাণে চিনি। যার পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেলস-এর থেকে অনেক বেশি।”
তিনি আরো বলেন, “শাক-সবজি এবং ফল-মূলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ‘ফাইবার’। যা আমাদের দেহে চিনির উপস্থিতি বাড়তে দেয় না। কিন্তু যখনই এই শাক-সবজি বা ফলকে জুসে পরিণত করা হয়, এতে থাকা ‘ফাইবার’ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দেহে চিনির উপস্থিতি বেড়ে যায়।”
ক্যাথরিন জানান, শুধু শাক-সবজি বা ফলের জুসই নয়, নিম্ন ক্যালরির দই, বিস্কুট এমনকি হার্টের জন্য ভালো অলিভ অয়েলেও আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। এছাড়াও মধু প্রাকৃতিক চিনির একটি বড় উৎস। যা আমাদের দেহকে মোটা করে তোলে।
‘দ্য ব্রিটিশ ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশন’ জানায়, যেখানে ১০০ মিলি কোমল পানীয়তে থাকে ১০.৬ গ্রাম ক্যালোরি, সেখানে ১০০ মিলি ফলের জুসে থাকে ১৫.৭ গ্রাম ক্যালোরি। অর্থাৎ কোমল পানীয়র তুলোনায় জুসে থাকে ৫০% বেশি ক্যালোরি।
এছাড়াও প্রতি চামচ অলিভ অয়েলে থাকে ৫০ গ্রাম ক্যালোরি।
পুষ্টিবিদ ক্যাথরিন বলেন, “নিম্ন ক্যালরির দই, বিস্কুট এমনকি দুধেও অতিমাত্রায় ক্যালোরি থাকে। কারণ এ খাবারগুলো থেকে চর্বি সরিয়ে নিলেও স্বাদ বাড়ানোর জন্য বেশি করে চিনি মেশানো হয়।”
এ গবেষণায় আরো জানানো হয়, বেশি সময় ধরে জুস খেলে দাঁতের ‘এনামেল’ নষ্ট হয়ে যায়।
ক্যাথরিন জানান, ‘স্থূলতা’ কমানোর জন্য ফলের জুস না খেয়ে পূর্ণাঙ্গ ফল খাওয়া এবং বেশি বেশি পানি পান করা উচিৎ।
Post a Comment