রোজায় গর্ভবতী মায়ের করণীয়
সুস্থ-সবল যে কোনো মানুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ। গর্ভবতী মা-ও রোজা রাখতে পারেন যদি তার অন্য কোনো অসুস্থতা না থাকে। তবে রোজা রাখতে হবে ডাক্তারের পরামর্শমত। গর্ভবতীদের রোজা রাখা নিয়েই আজকের টিপস।ইফতার:
...
সারাদিন রোজা রাখবার পর ইফতার বেশ গুরুত্ব বহন করে। কয়েকটি খেজুর, ফলের জুস খেতে পারেন। এতে করে আপনার সুগার লেভেল ঠিক থাকবে। লাবাং বা দুধ রাখতে পারেন আপনার ইফতারের মেনুতে। দুধ গর্ভবতীদের অ্যামোনিয়া হবার প্রবণতা কমায়। স্যুপ খেতে পারেন। এছাড়াও সালাদ খাবেন।
মাগরিবের নামাজ পড়ে এসে অল্প করে খাবার গ্রহণ করুন। মাছ, মাংস, কলাইয়ের ডালের মত প্রোটিন যুক্ত খাবার খাবেন। সবজিটা যেন সবসময় পাতে থাকে। এছাড়াও পাস্তা, বাদামী চালের ভাত, গমের রুটিও খেতে পারেন।
ভারী ও গুরুপাক খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান এতে থাকে না বললেই চলে। বরঞ্চ বদহজমে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। ইফতার থেকে সেহরী পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
সেহরি:
সেহরি না খেয়ে রোজা রাখবার চেষ্টা করবেন না। এতে করে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে সারাদিনে। আঁশযুক্ত খাবার, প্রোটিন ও ফ্যাট সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করুন। এসব উপাদান ধীর গতিতে পরিপাক হয় বলে ক্ষুধা কম লাগবে। এছাড়াও জাউ খেতে পারেন। তবে ফল হচ্ছে সবদিক থেকে ভাল। আপেল, কলা, খেজুর এসবও সেহরির মেনুতে রাখার চেষ্টা করবেন।
কিছু সাধারণ টিপস:
১. স্বাভাবিক দিনের চাইতে রোজার সময় বেশি বিশ্রাম নিন।
২. কর্মজীবী মহিলারা কাজের চাপ কমাতে রুটিন তৈরী করে কাজ করতে পারেন।
৩. যে কোন প্রকারের দুঃশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন।
৪. বেশি সময় রোদে অবস্থান করবেন না।
৫. রাতের খাবারের পর বিশ্রাম নিয়ে একটু হাঁটাহাটি করুন।
৬. পরিমিত পরিমাণে চিনিযুক্ত খাবার খেতে হবে।
________________________
Post a Comment