কর্মক্ষেত্রে চাপমুক্ত হতে ৬টি উপায়
আরো প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি সাফল্য পেতে হবে... এই আরও খানিকটা পাওয়ার তাগিদ থেকেই আমরা রাতদিন-দিনরাত ছুটে বেড়াচ্ছি। পেশাদার হিসেবে সাফল্য পাওয়ার চূড়ান্ত বাসনার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ। এই সব কিছু মিলিয়ে ব্যক্তিগত জীবনের হাল একেবারে বেহাল। শুধু কি তাই দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যাশা-উচ্চাকাঙ্খা ব্যালেন্স করতে করতে মানসিক স্থিতিটাই যেন মাঝেমধ্যে বেসামাল হয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কাজের মানও। কিন্তু তা বলে তো আর হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না! ওয়র্ক প্রেশার সামলাতে না পারলে নড়বড়ে হয়ে যাবে অনেককিছুই! না, না বিশেষ কিছু করতে হবে না। মাত্র ছ'টি সহজ পদক্ষেপ... আর আপনার কপাল থেকে চিন্তার ভাঁজ সরে যাবে!
প্রত্যেকেরই স্ট্রেস হ্যান্ডেল করার এক এক রকম পদ্ধতি হয়। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা কর্মক্ষেত্রের স্ট্রেস যথাযথভাবে সামলাতে পারেন না। তাদের জন্যেই রইল একটি চটজলদি চেকলিস্ট-
১. প্রথমেই বলব ধৈর্য হারাবেন না। হয়তো এমন কিছু একটা ঘটল যাতে মনে হতেই পারে, হাতের কাছে যা আছে সব ছুঁড়ে ফেলে দেবেন! মনে হওয়াতে কোনো দোষ নেই। যা ইচ্ছে মনে করতেই পারেন!! কিন্তু ভুলেও কাজে করে দেখাবেন না! তাহলেই কেরিয়ারের সাড়ে সর্বনাশ... তার থেকে বরং সেই সময় অন্য কিছু নিয়ে ভাবুন। ভালো ভাবনা মনে না আসলে রিভার্স কাউন্টিং করুন ১০০ থেকে ১ পর্যন্ত। আর কোনো কিছুতেই কাজ না হলে সেই জায়গা থেকে সরে অন্য কোথাও যান। দেখবেন আস্তে আস্তে রাগটা কমে গিয়েছে।
২. রোজ কি কি কাজ করতে হবে তার একটা চেকলিস্ট আগে থেকেই বানিয়ে রাখুন। অবশ্যই সেই লিস্টটা প্রায়রিটি অনুযায়ী বানান। এতে সময়ের কাজ সময়তে শেষ করতে সুবিধে হবে, সেই সঙ্গে কোনও কিছু ভুলে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকবে না।
৩. কমিটমেন্ট ফেল করবেন না কখনোই। চেষ্টা করবেন মিটিং অথবা অ্যাপয়েন্টমেন্টে সময়ের খানিকটা আগেই পৌঁছে যেতে। যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয় সেটা আপনার কলিগদের সময় থাকতে জানিয়ে দিন, যাতে আপনার জন্যে কোনো কাজের ক্ষতি না হয়।
৪. হাতের পাঁচ আঙুল যেমন সমান হয় না, তেমনই অফিসেও সব কলিগ আপনার মনের মতো হবে না। তাই যে যেমন তার সঙ্গে তেমন ভাবেই মিশুন। অতিরিক্ত কোনো এক্সপেকটেশন কারও থেকে রাখবেন না। কর্মজীবন আর ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দকে মেলাবার মতো ভুলটা করবেন না।
৫. কর্মক্ষেত্রে ইগোর প্রবেশাধিকার নেই। ইগো মাথাচাড়া দিলেই কেরিয়ারের দফারফা। একটা কথা খেয়াল রাখবেন কম্পানির সাফল্য এবং আপনার ব্যক্তিগত সাফল্য দুটোই কিন্তু টিম ওয়র্কের ওপরেই নির্ভর করে।
৬. নিজের জন্যে সেই লক্ষ্যই স্থির করুন যা আপনি অ্যাচিভ করতে পারবেন। সেটা করতে না পারলে অবসাদ বাড়বে বই কমবে না। সূত্র: ওয়েবসাইট।
Post a Comment