চুল পরার কারণ ও সমাধান
স্বাস্থজ্জ্বল সুন্দর চুল আমরা সবাই চাই। নানা রকম দুষন, মানসিকচাপ, অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণ এবং অনিয়ন্দ্রিত জীবন যাপন, নানারকম অসুখ কিংবা ব্যক্তিগত কারনে বর্তমানে অনেক অনাবয়সীরই চুল ঝরে যাচ্ছে। চুল ঝরে যাচ্ছে কিংবা টাক সমস্যা নিয়ে যারা ব্যথা বলেন তারা নিচের সমস্যাগুলোর ব্যথা সাধারণত বলে থাকেন।চুলের গোড়ায় ময়লা জমে।
১ দিন চুল শ্যাম্পু না করলে তেল তেল ভাব হয়।
মাথা চুলকায়।
চুলের গোড়ায় ছোট ছোট গোটা এবং ব্যথা হয়।
সাদা আদা খুশকির গুড়া দেখা যায়।
চুলের আগা দ্বিখন্তিত হয়ে যায়।
চুলে রম্নস্ন ভাব থাকে।
চুল লালচে হয়ে যাচ্ছে।
চুলের গোড়ায় ব্যথা হয়।
এধরনের সমস্যার কারণগুলো হচ্ছে-
চুল ঠিকমত পরিস্কার না রাখা।
ছত্রাকের আক্রমন টিনিয়া কেপিটিস
অগমিনেট ফলিকুলাইটিস
খুশকির আক্রমন
ডিটামিনের অভাব
রক্ত স্বল্পতা
চুলের সঠিক যত্ন না হওয়া
নানা রকম কেমিকেলের ব্যবহার
হরমোনের তারতম্য
সেবোরিক ডার্ম টাইটিস
এন্ড্রোজেনিক এলোপিমিয়া বা বংশগত
চুলের সঠিক যত্ন ও পুষ্টির অভাবে চুল পড়ে যায়। খুব সাধারণ নিয়মে চুলের কিছু যত্ন করলে চুল ভালো থাকে। ১ দিন অন্তর চুল পরিস্কার করা প্রয়োজন। ভেজা চুল আচড়ানো ঠিক নয়। অতিরিক্ত আচড়ানোও ঠিক নয়। খাদ্যভাস এখানে একটি বড় ব্যাপার ফল, শাক সবজি, ডিম, দুধ নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।
চুল প্রোটিন দিয়ে তৈরী। তাই খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখা প্রয়োজন। ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং করার সময়ও এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় ক্যালমিয়াম, আয়রন ও অন্যান্য ভিটামিন খাওয়া হচ্ছে কিনা লক্ষ্য রাখুন। কিছু ঔষুধ দীর্ঘদিন সেবনের ফলেও চুল ঝরতে পারে। যেমন গাউট কিংবা আর্থারাইটিসের ঔষধ মানসিক অবসাদের ঔষধ, এছাড়া ক্যান্সার কেমোসেরাপি। ঝরে পড়া স্বাভাবিক। কিন্ত্ত এর থেকে বেশি মনে হলে সর্তক হন। বর্তমানে চুল পড়ার আধুনিক চিকিৎসা আছে। কম বয়সে চুল পড়লে অবশ্যই চিকিৎসা প্রয়োজন কারনে এতে চুল ঝরা অন্তত বন্ধ হবে। মনে রাখতে হবে চুল ঝরা বন্ধ হলে আপনার মাথায় টাক পড়বে না।
Post a Comment