ইউনা হত্যাকারীদের শনাক্তে প্রযুক্তির ব্যবহার
ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী তরুণী সেহলিনা ইলাত ইউনা (২৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করেনি তার পরিবার। চাঞ্চল্যকর এই মামলায় আসামিদের শনাক্তে অত্যানুধিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়েছেন পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, প্রবাসী তরুণীর বয়ফ্রেন্ডদের লম্বা তালিকা আছে। তাই তারা ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে যার সম্পৃক্ততা আছে তাকে বা তাদেরকেই আটক করতে চান। বিষয়টি নিয়ে পানি ঘোলা করতে চান না। তবে তাদের ধারণা, হত্যাকারী একজনই হবে। আর হত্যাকারী ওই সম্ভ্রম নিতে চাইলে সে প্রতিবাদ করে বা প্রতিরোধ গড়ে তোলার ফলে তাকে হত্যা করা হয়।
শনিবার রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজারের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোমড়া এলাকায় নিজ প্রাইভেটকারে পাওয়া যায় ওই তরুণীর লাশ। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও তার মৃত্যুর কারণ রহস্যাবৃত।
জানা গেছে, ওই তরুণী নিজেই তার প্রাইভেট কার ড্রাইভ করতেন। তবে তার পরিবারের কেউ তার মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে চাননি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই তরুণীর বিয়ে হয় তিনবছর পূর্বে এক লন্ডন প্রবাসীর সঙ্গে। কিছুদিন আগে তরুণী লন্ডন থেকে দেশে আসে। কখনও থাকতো সে বাবার বাড়ি আবার কখনও নানীর সঙ্গে। মাঝেমধ্যে ছেলে বন্ধুদের নিয়ে গাড়ি চালিয়ে ঘুরতে বের হতো। তার বন্ধুদের তালিকাও অনেক লম্বা। সর্বশেষ শনিবার সন্ধ্যায় বের হওয়ার সময় কোথায় যাচ্ছে কাউকে বলেনি। সঙ্গে কে ছিল তাও কেউ এখনও জানেন না।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় মৌলভীবাজার মডেল থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, নিহত তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে গুরুত্বের সঙ্গে। নিহতের বন্ধুদের তালিকা অনেক লম্বা। তাই প্রকৃত হত্যাকারী শনাক্ত করতে একটু হিসাব করে এগুতে হচ্ছে। শিগগিরই এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। একটু সময় গেলেও আসামি অবশ্যই ধরা পড়বে। সূত্রঃ primekhobor
Post a Comment