পর্দাহীন বন্ধনহীন নির্লজ্জ নারী-পুরুষের অবাধ অভিশাপ না আশীর্বাদ
মানুষের ব্যক্তিত্ব, বিকাশের মাধ্যমগুলির মধ্যে পোষাক, অন্যতম।মার্জিত ও শালীন পোষাকধারী ব্যক্তিত্বের প্রতি সকলের শ্রদ্ধাবোধের উম্মেষ ঘটে।কিন্তু বর্তমান সময়ে নারীরা যে সব পোষাক-পরিচ্ছদ পরছে তাতে তাদের ব্যক্তিত্বের পরিবর্তে ব্যক্তিত্বহীনতাই প্রকাশ পাচ্ছে।পাশ্চাত্য সমাজের দিকে দৃষ্টিপাত করলে নারী ও পুরষের পোষাকের পার্থক্য আমাদের সহজেই চোখে পড়ে।
ইউরোপ বা আমেরিকায় একজন পুরুষ মার্জিত রুচিসম্মত শালীন পোষাক পরিধান করে পক্ষান্তরে এই অঞ্চলের দুজন পোষাক পরিহিতা নারীর দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে তারা দুজনেই নিজেকে কে কত বেশী উম্মুক্ত করে রাখতে পারে সে প্রতিযোগীতাতেই যেন নেমেছে। এই পর্দাহীনতার করাল গ্রাস থেকে প্রাচ্যের দেশমূহও রক্ষা পাচ্ছে না।ফ্রয়েডীয় চিকিত্সাবিদদের দাবি হচ্ছে, পর্দা লোকদের মনে কৌতুহল বা অনুসন্ধ্যিৎসা সৃষ্টি করে। এই কারণে বিকৃত আবেগের প্রতিক্রিয়া তাদের জন্য মারাত্মক হয়ে দেখা দেয়।
একটি পর্দাহীন বন্ধনহীন নির্লজ্জ নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশাপূর্ন সমাজ যে কি সাংঘাতিক পরিণতির সম্মুখীন হয় তা পাশ্চাত্য সমাজের দিকে দৃষ্টি দিলে সহজেই বুঝতে পারা যায়। মানসিক বিকৃতির সবসেহেতু তাকে বাইরে যেতেই হয়। আর তাই কুরআন মাজীদ তাকে নারী সেজে নয়, মানুষ হয়েই বাইরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে নারীকে মানুষ হয়েই বাইরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
একই সাথে নারীকে মানুষ হয়ে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনীয় পদ্ধতিও শিখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আল্লাহর দেয়া পর্দাকে উপেক্ষা করায় বর্তমান সমাজে নারী স্বাধীনতার নামে বেড়ে গিয়েছে নারীর স্বেচ্ছাচারিতা, নারীর অবমাননা, নারীর বেহায়াপনা। পাশ্চাত্যের অনুকরণে চলতে গিয়ে সমাজে নারীরা হচ্ছে, লান্থিতা, নির্যাতিতা । আর যার ফলশ্র তিতে সমাজ হচ্ছে কলুষিত নগর সভ্রতা স্তম্ভিত এবং বেড়ে যাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, পরকীয়া প্রেম, ধর্ষণ, ব্যভিচার।
সুতরাং মুসলমান বোনেরা আপনারা আল্লাহর দেয়া অপূর্ব বিধি পর্দাকে অভিশাপ মনে না করে আর্শিবাদ মনে করুন এবং নিজেদেরকে পাপ পঙ্কিলতার উর্ধ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করুন। আল্লাহ আমাদের সকল মুসলিম নারীকে পর্দা করার তওফিক দান করুন। (আমীন)
সূত্রঃ হ্যালো-টুডে
Post a Comment