বিছানায় শুয়ে শুধু এপাশ-ওপাশ করছেন, কিছুতেই ঘুম আসছে না। খুব ভোরে উঠতে হবে, তাই তাড়াতাড়ি বিছানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকক্ষণ এপাশ-ওপাশ করার পরেও ঘুম না আসায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। আমাদের সবারই কম-বেশি এ সমস্যায় পড়তে হয়। সাধারণত সমস্যাটি সাময়িক হয়ে থাকে। তবে দিনের পর দিন নির্ঘুম রাত পার হলে বুঝতে হবে এর পেছনে কোনো না কোনো কারণ আছে।
যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা হয় তাদের প্রায় ৫০ শতাংশই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভোগেন। এক্ষেত্রে নিজের থেকে ঘুমের ওষুধ না খেয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ায়ই ভালো। পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত জীবনে সুখী এমন নারীদের রাতে ঘুমের সমস্যা কম হয়। হার্টের সমস্যা থাকলে রাতে অস্বস্তি বোধ করার কারণে আপনার ঘুম ভেঙে যেতে পারে। বয়স হলে মানুষের ঘুম এমনিতেই কমে যায়। আপনার বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মাঝামাঝি হলে ঘুম বেশ পাতলা হবে, রাতে ঘন ঘন ভেঙেও যেতে পারে।
সারাদিন আপনার প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে গেলে রাতে যেমন ভালো ঘুম হতে পারে, কর্মব্যস্ততার কারণে মস্তিষ্ক উত্তেজিত থাকলে এর উল্টোটাও হতে পারে। এমনটি হলে ঘুমাতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে শরীরটাকে রিলাক্সড করার জন্য বই পড়তে বা গান শুনতে পারেন।
পুরুষদের তুলনায় নারীদের রাতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। মাসিকের সময়, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কিংবা মেনোপজের সময় নারীদের শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটে। এ কারণে রাতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। দিনের বেলায় ঘুমালে রাতে আপনার ঘুম নাও আসতে পারে। রাতে পোলাও কোর্মা বা বিরিয়ানির মতো ভারি খাবার না খেয়ে হালকা স্ন্যাক্স জাতীয় কিছু খেলে ঘুম ভালো হবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Post a Comment